মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি : দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে ত্রাণমন্ত্রী
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:: রোববার তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট কাছে বিপদ সীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার রাত থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদী ও কুলাউড়া উপজেলার মনু নদী পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।
এছাড়া কমলগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের পতনউষার ইউনিয়নে ও কুলাউড়ার হাজীপুর, শরীফপুরে আটকা পড়া পানিবন্দি মানুষজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর কাজ শুরু করে। শরীফপুর-শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়ক দেবে যাওয়ায় শরীফপুরের লোকজনের চলাচলের জন্য সড়ক জনপথ বিভাগ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়াও মৌলভীবাজার শহর ও শহরতলীর এবং বড়হাট এলাকায় সিলেট ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং মৌলভীবাজার রাজনগর ও কুলাউড়া সড়কের বন্যার পানি কিছুটা নেমে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী সুরমা নিউজকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে মনু নদীর পানি ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি এখন কমতে শুরু করেছে।’
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, গত ১৩ জুন থেকে জেলায় মনু ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রতিরক্ষা বাঁধের ২৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এই জেলায় ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৫ হাজার ৩৯০ জনকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে মৌলভীবাজার জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সোমবার মৌলভীবাজার এসেছেন। মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ত্রাণমন্ত্রী মতবিনিময় সভা শেষে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ প্রদান করবেন।