জেলখানা কারো বাসাবাড়ি নয়: কাদের

নিউজ ডেস্ক:: ‘জেলখানা কারো বাসাবাড়ি নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনী আমেজে আছে। ২৬ জুন গাজীপুরে নির্বাচন। ৩০ জুলাই অন্য তিনটি সিটিতে নির্বাচন। এরপরই জাতীয় নির্বাচন। এগুলো হলো সেমিফাইনাল। বছর শেষে হবে ফাইনাল।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতারা এখন বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। কারণ জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। তাই কখনো ব্যাংকক, কখনো দুবাই, কখনো লন্ডন। কোথায় কে, কী করছেন সরকারের কাছে সব খবর আছে।
এদিকে ঈদের দিনও বিএনপি নেতাদের কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি -এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলখানা কারো বাসাবাড়ি নয়। জেলখানায় প্রতিদিন নেতারা দেখা করতে যাবেন, এ সুযোগ জেলকোডে নেই।
তিনি প্রশ্নে রেখে বলেন, বিএনপি নেতারা কি প্রতিদিন জেলখানায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন? তবে তার আত্মীয়রা জেলখানায় দেখা করতে গেছেন এবং ঠিকই দেখা করতে পেরেছেন।
এদিকে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারলে খালেদা কেন ইউনাইটেডে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রীকে সিএমএইচে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে স্কয়ারে নিয়ে যেতাম না।
তিনি বলেন, সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) হলো সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতাল। কেন যে তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানে চিকিৎসা নিতে চান না তা আমাদের জানা নেই। আমার এখন সন্দেহ হয় বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কি না? আমার তো মনে হয়, তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, রাজনীতি করার ইস্যু খুঁজছেন। তাদের কাছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নয়, ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের মানুষ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ এবার নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। আসা যাওয়ায় কোনো কষ্ট হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তারপরও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে, সেটাই স্বস্তির বিষয়। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব সবাই সহযোগিতা করেছে। এজন্য তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সরকারের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও যুক্ত ছিলেন।
তিনি দাবি করেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হার কমেছে। আমরা চেষ্টা করছি দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে। এ বছর সব মিলিয়ে ৬০-৬৫ জন মারা গেছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ছিল রোববার রাতের নীলফামারীর দুর্ঘটনা।