হাকালুকি হাওরে বাড়ছে পানি : দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশংকা
বড়লেখা প্রতিনিধি:: হাকালুকি হাওরে অব্যাহতভাবে ঢলের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। সোনাই নদী, জুড়ী নদী ও কন্ঠিনালা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, সোনাই, জুড়ী ও কন্ঠিনালা নদী দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদী দিয়ে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের ভারি বর্ষণ ও ঢলের পানি প্রবাহিত হয়ে তা হাকালুকি হাওরে পতিত হয়। হাকালুকির পানি সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে বের হয়ে থাকে। কিন্তু সুরমা ও কুশিয়ারা নদী যখন হাকালুকি হাওরের অতিরিক্ত পানি ধারণ করতে না পারে তখনই উজানের গ্রামগুলো প¬াবিত করে। গত ১ সপ—াহ ধরে হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকালে দেখা গেছে, হাকালুকি হাওরপারের দাসেরবাজার ভায়া আজিমগঞ্জ-বাছিরপুর এলজিইডি রাস্তার ৪ স্থান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। জুড়ী উপজেলা কমপ্লে¬ক্সের সামনের সড়ক ও জনপথের রাস্তা ও জুড়ী চৌমুহনী রাস্তায় পানি উঠেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে যে কোন সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হতে পারে। জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ও জায়ফরনগর ইউনয়ন এবং বড়লেখা উপজেলার সুজানগর, তালিমপুর ও বর্নি ইউনিয়নে স্থায়ী বন্যার আশংকা রয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, মনু নদীর প্রতিরক্ষা রাঁধ ভেঙ্গে কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থান গড়িয়ে বন্যার পানি হাকালুকি হাওরে প্রবেশ করছে। কিন্ত দ্রুত এ পানি নামতে পারছে না। এতে বড়লেখার নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বন্যা কবলিত কিছু এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন।