মালয়েশিয়ায় ১০ বছরের বেশি ভিসা নয়, শঙ্কায় লক্ষাধিক বাংলাদেশি
প্রবাস ডেস্ক:: মালয়েশিয়ায় কোনো প্রবাসী ১০ বছরের বেশি ভিসা পাবেন না। ইতোমধ্যে যারা ১১ ও ১২তম ভিসা (স্টিকার) পেয়েছেন সেগুলোও বাতিল করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত ২২ জুন দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে।
নোটিশে ১১ ও ১২ নম্বর ভিসা প্রাপ্তদেরও দেশে ফেরত যেতে হবে বলে বলা হয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের এমন ঘোষণায় দেশটিতে বিদেশি কর্মীরা বিপাকে পড়েছেন। ফেরত যাওয়ার শঙ্কায় বিদেশি কর্মীদের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশিও রয়েছেন।
দেশটির অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জুলাই মাস থেকে ‘ওপস মেগা থ্রি-জিরো’ নামে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে দেশটির প্রশাসন। ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া বৈধকরণ প্রকল্পে যেসব কর্মী ও নিয়োগকর্তারা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের আটক করাই এ অভিযানের প্রধান লক্ষ্য।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে যারা অবৈধভাবে কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে ‘থ্রি প্লাস ওয়ান’ এর আওতায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে নিয়োগকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ৪ লাখের বেশি। উপার্জন ভালো হওয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন না করেই অনেকেই থেকে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশি অনেক প্রবাসী দিনের পর দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর অমানবিকভাবে এক ঘরে গাদাগাদি করে রাত্রিযাপন করছেন। তারা জানান, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে এভাবেই পড়ে আছি প্রবাসে। সামান্য কিছু বাড়তি আয়ের আশায় রাতভর কাজ করছি।
আকাশ, সমুদ্র বা স্থলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় উন্নত দেশগুলোর মতোই সুবিধা রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায়। ফলে দুই যুগ আগে থেকেই আশেপাশের বিভিন্ন দেশের জন্য অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটায় অনেক পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে মালয়েশিয়ায়। আধুনিক মালয়েশিয়া গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের অবদান যেমন রয়েছে সেই সঙ্গে অবৈধ প্রবেশ এবং থেকে যাওয়াসহ নানা কার্যকলাপে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি।