ওসমানী মেডিকেলে আবারও আলোচনায় সাদেক
স্টাফ রিপোর্ট :
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারো আলোচনায় ইসমাঈল হোসেন সাদেক। বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টাাল এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি সবার কাছে আলোচনায় আসেন। প্রকাশ প্রায় তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ড ও সম্পদের বিবরণ। কিন্তু ইসমাঈল হোসেন সাদেক এর এবারের আলোচনাড় ঝড়টি ভিন্ন।
ইসমাঈল হোসেন সাদেক বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক। তিনি অত্যান্ত মেধাবী ও পরিশ্রমি। সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্তোলন করেছিলেন। তা অত্যান্ত সাহসিকতার সাথে তিনি মোকাবেলা করে জয়ী হন।
ইসমাঈল হোসেন সাদেক বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি পদোন্নতিও হচ্ছে তাঁর প্রশংসনীয় প্রচেষ্টায়। বিভিন্ন দিবসে মনজুড়ানো অনুষ্টানও করে যাচ্ছেন তিনি।
বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে নার্সদের ব্যাপারে ও রোগীদের সেবা দিতে ইসমাঈল হোসেন সাদেক অত্যান্ত আন্তরিক। নার্সদের পাশে থেকে তিনি সাহস যুগীয়েছেন প্রতিনিয়ত। মিডিয়া পাড়ায় করোনার সংবাদ পৌছে দিতে তিনি ছিলেন নানা ভাবে তৎপর। সব মিলিয়ে এখন ইসমাঈল হোসেন সাদেক সাবার কাছে প্রিয় ও মহানুভব ব্যক্তি। তাঁর কর্মকান্ডের প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না।
ইসমাঈল হোসেন সাদেক ২৩ প্রপ্রিল শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার উদ্যোগে ২০২০ ও ২০২১ সালে নবযোগদানকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের বরণ করতে একটি অনুষ্টানের আয়োজন করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি।
অনুষ্টানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে নার্সদের বিশেষ সম্মান করা হয়। চিকিৎসাসেবা ক্ষেত্রে তাদের অবদান অপরিসীম। আমাদের দেশেও নার্সিংখাতের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার দেশের নার্সিং ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করছে। ফলে আমাদের দেশের নার্সরাও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। কোভিড সংকটকালে তারা তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করেছেন। বিদেশে নার্সরা প্রেসক্রিসপশন করে থাকে। আমাদের দেশের নার্সিংখাতের অনেক উন্নতি হচ্ছে। তারাও একদিন বিদেশের মতো প্রেসক্রিপশন করবে। বিদেশে চিকিৎসকের চেয়ে নার্সের সংখ্যা বেশি। আর আমাদের দেশের চিত্র ঠিক উল্টো। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ হাজারে একজন নার্স আছেন। আর প্রতি দুই হাজারে রয়েছেন একজন চিকিৎসক।
তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তারা রোগীরে প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক। তাদের মানবিক কর্মকান্ডের অনেক সুনাম আছে।