সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিলেন আওয়ামিলীগ মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
Md Nurul Muttakin :: দৈনিক সমকালের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি মুরাদ মৃধাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেনছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন দৈনিক সমকালের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি মুরাদ মৃধাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে জানিয়েছেন মুরাদ মৃধা।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। হুমকির ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর এই সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করে মুঠোফোন থেকে হুমকির ভিডিও মুছে ফেলেন সংসদ সদস্য ফরহাদ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন নাসিরনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংসদ সদস্য নিজের নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনারের সামনের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক মুরাদ মৃধা। ভিডিও ধারণের সময় মুরাদ মৃধার কাছে গিয়ে সংসদ সদস্য গাড়ি থামান। তিনি মুরাদ মৃধাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ইয়ে সাংবাদিক ভাই, আপনে আর আমার ছবি তুইলেন না। আপনার তো অনেক উপকার করছি, এই জন্য থ্যাংক ইউ। এমপি না হই, দেখা হবে। আপনার সাথে ঠিক আছে।’ গাড়িতে করে চলে যাওয়ার সময় আঙুল তুলে হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘আপনি কত বড় কী আমি দেখে নিব।’
এ ঘটনার পর বেলা দুইটার দিকে সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সাংবাদিক মুরাদ মৃধার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। ওই আচরণ নিয়ে মনে কিছু না রাখতে বলে মুরাদ মৃধার কাছ থেকে মুঠোফোন নিয়ে হুমকির ভিডিও নিজ হাতে মুছে ফেলেন।
মুরাদ মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরে সংসদ সদস্য আমার দোকানে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য আমাকে এটা নিয়ে না ঘাবড়ানোর জন্য বলেছেন। আমি তাঁর ছোট ভাই, প্রিয় মানুষ বলে এটা নিয়ে মনে কিছু না রাখতে বলেছেন তিনি। পরে সংসদ সদস্য আমার মুঠোফোনে থাকা ভিডিও মুছে ফেলেন।’ মুরাদ মৃধা আরও বলেন, সংসদ সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করায় জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত আছেন তিনি।
link :: 📸 Look at this post on Facebook https://www.facebook.com/100064708087863/posts/pfbid0Grc2UQUWkUJMWmQ6saQvfsBfhUgpZsPteadtAgdKonbQMhGRkxzKT1RVjFNn3nWSl/?d=n&mibextid=WC7FNe