কমিউনিটির নিরাপত্তায় ৮ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে কাউন্সিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৪:৩৮,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | সংবাদটি ৫৭ বার পঠিত
Md Nurul Muttakin |
|
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার নতুন অ্যান্টি-ক্রাইম টাস্ক ফোর্স চালু করেছে, যা হচ্ছে অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা থেকে কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখতে একটি সম্মিলিত কমিউনিটি নিরাপত্তা মডেল, যেখানে টাওয়ার হ্যামলেটস এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা (টিএইচইও বা থিও) পুলিশের সাথে একযোগে কাজ করবে। ১৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই অ্যান্টি-ক্রাইম টাস্ক ফোর্স এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। |
২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটস এনফোর্সমেন্ট খাতে এরই মধ্যে ৪ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে কাউন্সিল এবং ২০২৬ সালের মধ্যে আরও ৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে। কমিউনিটির সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিশাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
২০২২ সাল থেকে থিওদের (টাওয়ার হ্যামলেটস এনফোর্সমেন্ট অফিসার) সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। বর্তমানে ৫৪ জন অফিসার কাজ করছেন এবং আরও ১০ জন নিয়োগ করা হচ্ছে, যার ফলে থিওদের মোট সংখ্যা হবে ৬৪ জন।
নতুন ৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগে গড়ে তোলা অ্যান্টি – ক্রাইম টাস্ক ফোর্সের অংশ হিসেবে থিওরা কাউন্সিলের অর্থায়নে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তারা রাস্তায় টহল দেন, অপরাধ ও অ্যান্টি – সোশ্যাল বিহেভিয়ার (এএসবি) মোকাবিলা করেন এবং কমিউনিটিকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
নতুন অ্যান্টি – ক্রাইম টাস্ক ফোর্সের লক্ষ্য হচ্ছে, টাওয়ার হ্যামলেটস জুড়ে দৃশ্যমান এনফোর্সমেন্ট উপস্থিতি বৃদ্ধি করা, অপরাধ ও সমাজ বিরোধী আচরণ জনিত কার্যকলাপ (এএসবি) মোকাবিলা করা এবং জনগণকে আরো আশ্বস্ত করা। এছাড়াও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঃ
-
একটি নতুন ডগ স্কোয়াড টহল দল, যারা টিএইচইও বা থিও-দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পার্ক, উন্মুক্ত স্থান এবং আবাসিক এলাকায় অস্ত্র ও মাদকের তল্লাশি চালাবে। তারা যানবাহন পরীক্ষা করবে এবং মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধ ঠেকাতেও ভূমিকা রাখবে।
-
৮৯৫,০০০ পাউন্ড ব্যয়ে কাউন্সিলের সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম আধুনিকীকরণ করা হয়েছে, যেখানে ৪২টি ক্যামেরা একসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব এমন উন্নতমানের এলইডি ভিডিও ওয়াল স্থাপন করা হয়। এছাড়া, রাস্তার ৩৫০টি ক্যামেরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নীত করা হয়েছে।
-
২০২২ সাল থেকে, কাউন্সিলের সিসিটিভি অপারেটরদের তৎপরতায় ৫৮১ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৪১ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
|
|
|