ধরপাকড় ও হয়রানির কারণে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে
দলইর গাঁও নিউজ ডটকম :: জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, হয়রানি ও ধরপাকড়ের কারণে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে বারবারই উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান এবং সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুশফিকুল ফজল আনসারি। মার্চের শুরুর দিকে আল–জারিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের সাংবাদিক জুলকারনাইনের ভাইকে মারধরের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের এসব ঘটনা নিয়ে ডুজারিকের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বারবারই গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ, আটক এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁদের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়ে ডুজারিক বলেন, ‘আমরা সবাই যেখানে বসবাস করতে চাই, সেই বিশ্বের মেরুদণ্ড হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম।’
সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গত বুধবার ভোররাত চারটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। ৩০ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। একই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রমনা থানা পুলিশ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠাতে আদালতে আবেদন জানায়। অন্যদিকে তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।
আদালতের নির্দেশের পর শামসুজ্জামানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে