একাদশে ভর্তি : দ্বিতীয় ধাপে মনোনীত আড়াই লাখ
নিউজ ডেস্ক:: একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধাপে নতুন করে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়াও প্রথম ধাপে নির্বাচিতদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৮৭৪ জনের কলেজ পরিবর্তন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাত ১১টায় ভর্তির দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, দেশের মোট ১২ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ আবেদনকারীর মধ্যে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৯২ জন কলেজ ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করেছে। দ্বিতীয় ধাপে নতুন করে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৭ জন। নির্বাচিতদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে ২২-২৩ জুনের মধ্যে। নিশ্চায়ন না করলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সিলেকশন ও আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। তৃতীয় ধাপে তারা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নতুন করে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি জন্য মনোনিত হয়েছে। ফল প্রকাশের পর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপে যারা কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি নতুন করে তারা দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেছেন। তাদের অনেকেই পচ্ছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে এখনো ৪৬ হাজার ৫৩১ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। তারা তৃতীয় ধাপে আবেদন করতে পারবে। ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন শুরু এবং ২৫ জুন দ্বিতীয় মেধার মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় মেধা তালিকার ফল প্রকাশ করা হবে।
তৃতীয় মেধার শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়ন করতে হবে ২৬ জুন। তিন পর্যায়ের মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ২৭-৩০ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই থেকে। তবে বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তির সুযোগ থাকছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপে যারা ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন এমন ৩৩ হাজর ৮৭৪ শিক্ষার্থীর অটোমেটিক মাইগ্রেশন হয়েছে। ভর্তিচ্ছু এসব প্রার্থীর নির্বাচিত কলেজের উপরের দিকে মাইগ্রেশন হয়েছে। সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ২০৪টি কলেজে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। তাই ভর্তি থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, কলেজ ভর্তির প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয় ১০ জুন। প্রথম ধাপে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ২৫২ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। আবেদনকারীদের ৯৪ শতাংশকে কলেজে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। প্রথম ধাপে প্রায় ৮১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
চলতি বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাস করেন।